দিল্লীর কাছে গাজিপুর সীমান্তে যে কৃষকরা শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, তাদের উপর নিপীড়ন নামিয়ে আনার ঘটনায় সারা ভারত কিষান মহাসভা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে। মোদী সরকার গণপিটুনীদায়ী জনতাকে এবং ফ্যাসিস্ত গুণ্ডাদের উৎসাহিত করে আর তাদের সুরক্ষা যোগায়, আর অন্যদিকে যে কৃষকরা ঋণের বোঝায় ভারাক্রান্ত হয়ে এবং ফসলের লাভ জনক দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়, তাদের মুখোমুখি দাঁড়ানোর হিম্মত তার হয় না। কৃষকরা সি-২ যুক্ত ৫০ শতাংশ সূত্র অনুসারে ফসলের লাভজনক দাম, এই দামে শস্য ক্রয়, আখচাষীদের বকেয়া পাওনা শোধ করা, বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহার এবং অন্যান্য দাবি জানাচ্ছেন।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী কৃষকরা ২৩ সেপ্টেম্বর হরিদ্বার থেকে যাত্রা শুরু করে দিল্লীর সীমানায় পৌঁছে ২ অক্টোবর কিষান ঘাটে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিষান ঘাটে যেতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের উপর ব্যাপক নিপীড়ন চলে। এতে শতাধিক কৃষক আহত হন।
দিল্লীর রাস্তায় কৃষকদের উপর যখন ব্যাপকভাবে টিয়ার গ্যাস ও লাঠি চলছে, তখন যে গুটিকয়েক কৃষক নেতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা চালান, কিষান মহাসভা তাদের সমালোচনাও করেছে। কিষান মহাসভা আরও বলেছে যে, ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিক অধিকার এই সরকারের আর নেই।
সারা ভারত কিষান মহাসভা পদযাত্রী কৃষকদের দাবিগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে এবং এই দাবিগুলোর উপর ভিত্তি করে দেশব্যাপী এক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান কৃষকদের কাছে রাখছে।