গত ৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজে আইসার প্রথম জোনাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল স্থানীয় কালীপুর অফিসে। বিগত প্রায় এক বছর ধরে বজবজ এলাকায় আইসার ছোট ছোট আকারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টার পর এই সম্মেলনে মোট ৩৬ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। প্রথমে শহীদবেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। মাল্যদান করেন পার্টি নেতা ও প্রাক্তন ছাত্র নেতা নবকুমার, পার্টির জেলা সম্পাদক কিশোর সরকার, আইসা রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক ও সম্মেলনের পর্যবেক্ষক আকাশ দেশমুখ, ইন্দ্রজিৎ সহ উপস্থিত সকলে। এরপর সম্মেলনের মূল পর্ব শুরু হয়। প্রথমে আজকের দিনে শিক্ষার ওপর সরকারি হামলা ও তার বিরুদ্ধে আইসা র ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্য পর্যবেক্ষক আকাশ। এর পর বর্তমান সময়ে ছাত্র আন্দোলনের কর্তব্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র নেতা নবকুমার। সম্মেলনে খসরা প্রতিবেদন পাঠ করে প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ্য থেকে অভীক। সম্মেলনে উপস্থিত একদমই নবীন ৫/৬ জন কমরেড তাদের অভিজ্ঞতা ও আন্দোলনের কথা সকলের সামনে রাখেন। এরপর পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদক কিশোর সরকার ছাএদের কাছে বৃহত্তর সমাজে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-এর কথা রাখেন। ইন্দ্রজিৎ মানুষকে ও বিশেষত ছাত্রদের সংগঠিত হয়ে লড়াই-আন্দোলনে নামার কথা বলেন। এই সম্মেলন ১১ জনের বজবজ জোনাল কমিটি নির্বাচিত করে। সম্পাদক নির্বাচিত হয় অভীক, সভাপতি সাগর, যুগ্ম-সম্পাদক অভিষেক ও সহ-সভাপতি পায়েল।
এই সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা মূলত কালীপুর স্কুল ও বজবজ কলেজের ছাত্র। আগামীতে এই দুই জায়গায় আইসা-র দুটি ইউনিট গড়ে তোলা, স্থানীয় নাগরিক ও ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যাগুলি নিয়ে আন্দোললন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেশ কয়েক বছর পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আইসা-র কাজ আবার শুরু হল বজবজ জোনাল কমিটির মাধ্যমে। ভবিষ্যতে জেলার অন্যান্য জায়গায়ও আইসা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলবে। গ্রামীণ মজদুর, নির্মান শ্রমিক ও শ্রমজীবি পরিবারগুলির ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনীতিকরণ ও সংগঠিত করার এই প্রচেষ্টা ছাত্র সংগঠন ও পার্টি সংগঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক। এই ধরনের চেষ্টাকে আগামীতে অন্যত্রও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা জারি থাকবে।