সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, সাঁওতালি ভাষায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম চালু করতে শিক্ষক নিয়োগ, অলচিকি লিপির আইনী স্বীকৃতি, সাঁওতালি শিক্ষা পর্ষদ গঠন, পাঠ্যপুস্তক, আদিবাসী এলাকায় আদিবাসী সমাজ থেকেই কর্মচারি নিয়োগ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তপশিল লাগু করা, এসসি এসটি নিপীড়ন নিবারণ আইন লঘু না করা, ভূয়ো এসটি সার্টিফিকেট চিহ্নিত করে বরখাস্ত করা, আদিবাসীদের বন্ধ হস্টেলগুলি চালু করা, বনাধিকার আইনে চাষজমির পাট্টা প্রদান, জাহের গাঢ়ের পাট্টা প্রদান-এক কথায় হাসা, ভাষা, লায়-লাকচার, ও অধিকার রক্ষার দাবিতে আদিবাসী ছাত্র-যুব তথা আদিবাসী সমাজের প্রতিবাদ আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই। রাজ্য সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের ফলে আলোচনার দরজা বন্ধ হয়ে আছে। রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হওয়ায় যাত্রী সাধারণ ও অসংখ্য পরীক্ষার্থি ভীষণ অসুবিধায় পড়েছে। সরকার চায় আন্দোলনরত আদিবাসীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধুক। এই পরিস্হিতির সুযোগ নিতে বিজেপি-আরএসএস 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি তুলে আসরে নেমে পড়েছে। আরএসএস-বিজেপি'র এই অপচেষ্টা সম্পর্কে আদিবাসী ছাত্র যুব সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে। ইতিমধ্যে রেল অবরোধ উঠতে শুরু করেছে। আমরা দাবি করি, উদ্ধত অবস্হান ত্যাগ করে রাজ্য সরকার আন্দোলনরত আদিবাসী জনগণের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবিগুলির সুষ্ঠু মীমাংসা করুক।