দেশজুড়ে এনআরসি-র নামে বিভাজনের নীতি-কে উন্মোচিত করতে যাদবপুর সংস্কৃতি চক্রে আশু মজুমদার স্মৃতি লাইব্রেরীর পক্ষ্ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এই আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড: বিনায়ক সেন, আইনজীবি অজয় দত্ত, অধ্যাপক অজয় দত্ত ও অম্লান ভট্টাচার্য। সভায় উপস্থিত বিজ্ঞানী তুষার চক্রবর্তী বলেন এনআরসি-র নামে বিজেপি ২০১৯-এর আগে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। তার জন্য সাধারণ মানুষকে বিভক্ত করতে চাইছে। এই এনআরসি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া আসলে এই উদ্দেশ্যে।আইনজীবি অজয় দত্ত পিইউসিএল তদন্ত টিমের সাথে আসামে গেছিলেন, তিনি বেশ কিছু মানুষের বৈধ কাগজপত্র দেখান যাদের নাম এনআরসি থেকে বাদ দওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ-ই আছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র মানুষের ন্যুনতম অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে।মানবাধিকার সংগঠন পিইউসি এলের রাজ্য সম্পাদক অম্লান দত্ত বলেন তিনি দেখেছেন আসামে গিয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বেশ কিছু ডিটেনশন ক্যাম্প চলছে আসামে। নাগরিকত্ব প্রমাণের নাম করে মানুষের রাজনৈতিক সামাজিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্র বলছে নাগরিকত্ব প্রমাণে শেষ বিচারে ট্রাইবুনাল আছে কিন্ত সেই ট্রাইবুনালের খরচ কে দেবে? সাধারণ গরিব মানুষ তা পাবে কোথায়,তাই তারা এর বাইরেই থেকে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে চেয়ে পাঠানো ভেরিফিকেশন তালিকা কেন সরকার পাঠাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন-ও তিনি তোলেন। ডা: বিনায়ক সেন মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করতে সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট সরকার ও দলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরালো করার কথা বলেন। গোটা আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক মানষ ঘোষ। বক্তব্যের পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব-ও চলে কিছুক্ষণ। এলাকার গণতান্ত্রিক মানুষ এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।