এবিভিপি-র সমস্ত চক্রান্ত অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে জেএনইউ-তে জয়ী হয়েছে আইসা এসএফআই ডিএসএফ এবং এআইএসএফ-এর বাম জোট। এই জয়কে উদযাপন করতে এবং জেএনইউ-র ভোট প্রক্রিয়ায় এবিভিপি-র ফ্যাসিস্ট আক্রমণ ও ভোটগণনাকে বানচাল করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে, বাম ছাত্র নেতৃত্বের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে বালিতে ১৬ সেপ্টেম্বর বিজয় মিছিল এবং এবং এবিভিপি-র কুশপুতুল পোড়ানো হয়। লাল আবীরে রাঙা হয়ে বালির আইসা কর্মীরা জোড়া অশ্বত্থতলা মোড় থেকে বালিখাল পর্যন্ত মিছিল করে। জেএনইউ-র সাথীদের লাল সেলাম জানিয়ে, ফ্যাসিস্ট এবিভিপিকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগানে উদ্বেলিত মিছিল শেষে এবিভিপি-র কুশপুতুল পোড়ানো হয়। বক্তব্য রাখেন আইসা রাজ্য সভাপতি নীলাশিস। মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় আইসা সংগঠক অঙ্কিত, মৌ, তীর্থ প্রমুখ।
১৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগণা, বেলঘরিয়া গনসংগঠনের কার্যালয়ে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত 'পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধন কর্মী (মিড-ডে-মিল) ইউনিয়ন' প্রায় দেড়শত রন্ধন কর্মীর উপস্থিতিতে ইউনিয়ন গঠন করা হয়। রন্ধন কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা জয়শ্রী দাস ইউনিয়নের কার্যপ্রণালী সহজ ও সাবলিলভাবে ব্যাখা করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেত্রী অর্চনা ঘটক এবং স্থানীয় কর্মী টুলু গুহরায় সহ অন্যান্যরা। শিখা গুহরায় সভানেত্রী এবং অরুণা দত্ত সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। মোট ২১টি বিদ্যালয় থেকে কর্মীরা এসেছিলেন। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ২৩ জনের কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। রন্ধন কর্মীদের ২৬ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত থাকার আবেদন করা হয়। খুব দ্রুত স্থানীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা মতই রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া কালিবাড়ীতে পার্টির লোকাল কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। ২০১৬-সালে কমরেড চন্দন চৌধুরির মৃত্যুর পর সম্পাদকের পদটি খালি ছিল। সম্মেলনে দুটি লোকাল কমিটিই পুনর্গঠন করা হয়েছে। রায়গঞ্জ শহর লোকালের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গণেশ সরকার এবং রায়গঞ্জ উত্তর লোকালের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রমানাথ দাস। প্রত্যেক লোকালেই ৯ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা কমরেড তসলিম আলি, এছাড়া ব্রজেন সরকার, সিদ্দিক আলি, রাজু মহম্মদ সহ ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন নবাগত পার্টি সদস্য তাপস দাস।
১৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগণা, বেলঘরিয়া গনসংগঠনের কার্যালয়ে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত 'পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধন কর্মী (মিড-ডে-মিল) ইউনিয়ন' প্রায় দেড়শত রন্ধন কর্মীর উপস্থিতিতে ইউনিয়ন গঠন করা হয়। রন্ধন কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা জয়শ্রী দাস ইউনিয়নের কার্যপ্রণালী সহজ ও সাবলিলভাবে ব্যখা করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেত্রী অর্চনা ঘটক এবং স্থানীয় কর্মী টুলু গুহরায় সহ অন্যান্যরা। শিখা গুহরায় সভানেত্রী এবং অরুণা দত্ত সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। মোট ২১টি বিদ্যালয় থেকে কর্মীরা এসেছিলেন। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নিয়ে ২৩ জনের কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত থাকার আবেদন করা হয়। খুব দ্রুত স্থানীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সত্তর দশকের শহীদ করুণাময় সরকারের স্মরণে এক পথসভার মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। কমরেডের বাড়ির সামনে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন স্থানীয় বর্ষিয়ান সমর্থক শচীন ভট্টাচার্য সহ সিপিআই(এমএল)-এর হাওড়া জেলার নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে স্মরণ করা হয় কমরেড তপন ঘোষ ও কমরেড অমর চন্দকে। বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য নীলাশিস বসু, রতন দত্ত, মীনা পাল ও প্রণব মন্ডল। বক্তাদের বক্তব্য ছিল, সারা দেশজুড়ে বিজেপি-আরএসএস-এর ফ্যাসিবাদের আক্রমণ চলছে। এই রাজ্যে চলছে তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজ এবং শেষোক্ত কার্যকলাপ পরিণামে ফ্যাসিবাদের বিচরণভূমিকে প্রশস্ত করে তুলছে। পক্ষান্তরে, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-যুব-মহিলা-দলিত-সংখ্যালঘু-আদিবাসী জনগণ দেশজুড়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন এই সমস্ত লড়াইগুলোতে দৃঢ়ভাবেই থাকছে, কোথাও প্রত্যক্ষভাবে, কোথাও সংহতির অবস্থান নিয়ে।
শহীদ কমরেডদের অসম্পূর্ণ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে স্মৃতিচারণ সভার কাজ পরিসমাপ্ত হয়।
১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি সদস্য বর্ষীয়ান কমরেড বিজন সরকার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি রেখে গেছেন পরিবারে স্ত্রী, কন্যা, জামাতা, নাতি-নাতনি সহ পার্টির শুভানুধ্যায়ী বহুজনকে। তাঁর মৃত্যুতে পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্যের পার্টি সংগঠন কমরেড বিজন সরকারকে হারানোর শোকের অংশীদার।
কমরেড বিজন সরকার পার্টির সূচনাকাল থেকেই একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। পার্টির নেতৃত্বে আন্দোলনে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং মৃত্যুর প্রাক-মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি পার্টির প্রতি নিবেদিত প্রান ব্যক্তিত্বরূপেই সমুজ্জ্বল ছিলেন। বিশেষত বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কমরেড বিজন সরকার অমর রহে।
এআইসিসিটিইউ-র ডাকে দেশব্যাপী মোদী হঠাও, শ্রমিক বাঁচাও, গণতন্ত্র ও দেশ বাঁচাও প্রচার কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ১৯ সেপ্টেম্বর পূজালী বাজারে পথসভা। সভা পরিচালনা করেন জেলা নেত্রী কমরেড কাজল দত্ত। বক্তা এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য নেতা কমরেড কিশোর সরকার, সিপিআই(এমএল)-এর জেলা নেতা কমরেড দিলীপ পাল, এআইসিসিটিইউ জেলা নেতা কমরেড লক্ষ্মীকান্ত অধিকারি।
গাড়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীনগর ক্যাম্পাসে। ঐ নির্বাচনে সহ সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছে এআইএসএ-র অঙ্কিত উছোলি। ক্যাম্পাস গনতন্ত্র এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে পশ্চাদমুখী নয়া-উদারবাদী সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এআইএসএ সামনের সারিতেই থেকেছে।
১২ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে, বিপিএমও-র রাজ্যব্যাপী সংগঠিত অধিকার যাত্রাকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সিআইটিইউ-র শান্তশ্রী চ্যাটার্জি, এআইসিসিটিইউ-র বটকৃষ্ণ দাস সহ বিভিন্ন গণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী সভার কাজ পরিচালনা করেন। সভায় প্রস্তাব পেশ করেন সিটুর জেলা সম্পাদক অসিত মুখার্জি। এআইকেএম এবং এআইসিসিটিইউ-র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে মুকুল কুমার ও ভিয়েত ব্যানার্জি।
৯ সেপ্টেম্বর বেলঘরিয়ায় সিপিআই, সিপিআই(এম) এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ১০ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের সমর্থনে যৌথ মিছিল সংগঠিত করে। মিছিল দেশপ্রিয়নগরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।