১০ জুলাই বিকেলে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য অফিসে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠক

10-Jul-2019, Kolkata
পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের উপর অর্থনৈতিক আক্রমণ বেড়ে চলেছে। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ানো হল। কর্পোরেটদের স্বার্থে শ্রম আইনকে শিথিল করা হল। ১৯২৭ সালের বন আইনকে পাল্টে নতুন বন আইন আনার ষড়যন্ত্র চলছে, যার ফলে ২৫ লক্ষ আদিবাসী মানুষ নতুন করে উদ্বাস্তু হবে। বেকার সমস্যা সমাধানে সরকারের বিন্দুমাত্র নজর নেই, আর এই বেকার যুবকদেরই মব লিঞ্চিং-র কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়ক থেকে পার্লামেন্ট সর্বত্রই জয় শ্রীরাম ধ্বনি। এই শ্লোগান এখন সংখ্যালঘু মানুষ, আদিবাসী-দলিত মানুষদের দমনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।" পশ্চিমবাংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি.....

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সিপিআই(এমএল) বিবৃতি

23-May-2019, নয়া দিল্লী, ২৩ মার্চ ২০১৯
বিজেপি পরিচালিত এনডিএ-র নিরঙ্কুশ জয় মোদী সরকারকে দ্বিতীয় দফার জন্য ক্ষমতায় নিয়ে এলো, কিন্তু যেভাবে এই জয় অর্জিত হল তা ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য এক উদ্বেগজনক নিহিতার্থ বহন করছে। ২০১৪ সালের বিপরীতে এই দফায় মোদীর প্রচারে উন্নয়নের ভাঁওতা কমই ছিল। বরং তা নির্লজ্জভাবে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও উগ্র জাতিদম্ভকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে, এমনকি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালানোয় অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বিজেপির এক যথার্থ প্রতীক হিসাবে নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির এই মাত্রায় জয় নিশ্চিতভাবে সেইসব শক্তিকে উৎসাহিত করছে যারা ধারাবাহিকভাবে আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে এসেছে এবং এই জয় নিশ্চিতভাবেই অনেক রাজ্য সরকারের স্থায়িত্ব নষ্ট.....

আর কোনও পুলওয়ামা নয়! নয় কোনও ভারত-পাক যুদ্ধ!

27-Feb-2019, New Delhi
গত ১৪ ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামাতে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের উপর সিআরপিএফ কনভয়ে আক্রমণ, যার দায় স্বীকার করে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ঈ-মহম্মদ এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গতকাল ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাত - দুই দেশের সম্পর্ককে আরও একবার যুদ্ধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র সচিব এই জবাবী হামলাকে 'সন্ত্রাস নিরোধক প্রতিষেধক হানা' বলে বর্ণনা করেছেন; অন্যদিকে, পাকিস্তান আচমকা আক্রমণের মাধ্যমে এই হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই সমস্ত ঈঙ্গিত থেকেই ভারত ও পাকিস্তান আরেকটা যুদ্ধের কিনারে পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে কোনও সীমিত সময়ের বা ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধও ভারত, পাকিস্তান সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ার.....

মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সিপিআই(এমএল)-এর বিবৃতি

29-Oct-2018, নয়া দিল্লী
দীর্ঘ সময় ধরে গৃহবন্দী রাখার পর পুণে সেশন কোর্ট বেইল মঞ্জুর না করায় পুণের পুলিশ গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিল আন্দোলনকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা ও ভার্ণন গনসালভেসকে। সম্পূর্ণ মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএপিএ-র মতো একটি দমনমূলক আইন প্রয়োগ করে এরকমভাবে গ্রেপ্তার করাকে সিপিআই(এমএল) ধিক্কার জানায়। এই প্রসঙ্গে সুপ্রীম কোর্টের ক্ষুব্ধ রায়ে পূণে পুলিশের নির্লজ্জ কার্যকলাপ আগেই উন্মোচিত হয়েছে। কীভাবে তারা ভারতীয় সংবিধানকে পদদলিত করে আন্দোলনকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা সাজাচ্ছে তা সেই রায়ে প্রকাশ পেয়েছিল। ছত্তিশগঢ়ের সর্বাধিক বিপন্ন-উচ্ছিন্ন আদিবাসীদের আইনী সহযোগিতার জন্য যিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সেই সুধা ভরদ্বাজের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করছে সিপিআই(এমএল)। সংহতি জ্ঞাপন করছে অরুণ ফেরেরা ও ভার্ণন গনসালভেসের.....