নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে গণবিক্ষোভ
resignation of two ministers

অবিলম্বে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীর পদত্যাগের দাবিতে এবং এসএসসি প্যানেলভুক্ত সমস্ত চাকরি-প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে, আইসা-আরওয়াইএ-আইপোয়া’র উদ্যোগে ২৩ মে মৌলালি মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। বক্তব্য রাখেন আইসা থেকে নিলাশিস বসু, আরওয়াইএ থেকে মেহবুব মন্ডল, আইপোয়া থেকে চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী। এছাড়া, ছাত্র-যুব অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে বলেন রাকিবুর শেখ। সভা শেষে মিছিল করে রাস্তা অবরোধ করা হয়।

এসএসসি’র এই আন্দোলন আজকের নয়। ২০১৬ সাল থেকে এই আন্দোলন চলছে। বিকাশ ভবন, আচার্য সদন, নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরি প্রার্থীরা অবস্থানে বসে এবং ফুটপাতের ধারে বসে ২৯ দিন ধরে অনশন চালায়। বারংবার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবস্থান তুলে নিতে বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কোভিড পরিস্থিতিতে অবস্থান করার অনুমতি না পাওয়ায় সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান চালায়। এরপর একদিন ঝড়-জলের রাতে পুলিশ এসে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা নাকতলা, হাজরা মোড়, কলেজ স্ট্রীট, শ্যামবাজার, মৌলালি, ধর্মতলায় ৪৮ ঘন্টার জন্য নগর অনশন করে। সবশেষে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যোগ্য প্রার্থীরা অবস্থানে বসেন। আজ প্রায় ২২০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির খবর আমাদের সকলের কাছেই প্রায় কমবেশি এসে পৌঁছেছে। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট দাবি, দুর্নীতি-নিয়োগ নয়, প্যানেলভুক্তদের অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগে লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। আগামীদিনে, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া সম্পূর্ণ পূরণ না হলে এই আন্দোলন চলবে৷ আশা রাখা যায়, শেষপর্যন্ত এই দীর্ঘ আন্দোলনের সাথে থাকা ভবিষ্যতের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দালালির বদলে রাজপথকেই বেছে নেবেন।

- ত্রিয়াশা

খণ্ড-29
সংখ্যা-20