গত ২৪ জুলাই সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি টীম মালিপাঁচঘড়ার গজানন বস্তিতে বিষমদে মৃতদের পরিবারের সাথে কথা বলে স্থানীয় থানায় গিয়ে বিভিন্ন দাবি পেশ করে। ২৯ জুলাই সেই অনুসন্ধান টীমের রিপোর্টের ভিত্তিতে ও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সমস্যার কিছুটা সমাধানের জন্যে প্রয়োজনীয় কিছু দাবি নিয়ে হাওড়া জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিতে যায় একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন হাওড়া জেলা সম্পাদক দেবব্রত ভক্ত সহ কল্যাণী গোস্বামী, এ কে গুপ্তা ও অঙ্কিত মজুমদার।
প্রথমে জেলাশাসক মুক্তা আর্য তার দপ্তরের কর্মচারীর মারফত আমাদের ডেপুটেশন গ্রহণের জন্যে লোক পাঠালে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক কিংবা সচিবদের সাথে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলের অনড় অবস্থানের কথা জেলাশাসক জানতে পেরে জেলার শিক্ষা সচিবকে ডেপুটেশন গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
ঘটনাচক্রে মূল মূল দাবির দুটো দাবি শিক্ষা সচিবের আওতাধীন হওয়ায় তিনি কথা দেন যে বিষমদে মৃতব্যক্তির অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসন নেবে এবং সেই পরিবারের মহিলাদের জেলার স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় এনে রোজগারের ব্যবস্থা করবেন। বাকি দাবি নিয়ে তিনি জেলাশাসক মুক্তা আর্যের বিবেচনার জন্যে তারসাথে দেখা করবেন বলেন।
তাঁকে প্রতিনিধিদল পরিস্কার জানিয়ে এসেছে যে আগামী ১৫ দিনে কাজ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পরিজন নিয়ে ডিএম অফিসের সামনে হাজির হবে ও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে।