খবরা-খবর
দেওচা-পাচামির গ্রামবাসীদের সিউড়ি জেলাশাসক দপ্তর অভিযান
Deocha-Pachami villagers

অযোধ্যা পাহাড়ে সরকারি সমীক্ষক দলকে ফেরত পাঠাল গ্রামবাসীদের প্রতিরোধ

দেওচা-পাচামি

২৫ জুলাই দেওচা-পাচামির গ্রামবাসীরা সিউড়ি শহরে এক দৃপ্ত মিছিল সংগঠিত করে জেলাশাসকের দপ্তর অভিযানে যায়। জেলাশাসক প্রথমে প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করলেও প্রায় দুঘন্টা অবরোধের পর ডেপুটেশন জমা নেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও হাজার দুয়েক গ্রামাবাসী তীর ধনুক ইত্যাদি প্রথাগত হাতিয়ার হাতে দৃপ্ত মিছিল করে জানিয়ে দেয় যে তাঁরা কয়লাখনি চাইছেন না। গত ১৩ এপ্রিল নবান্নে গ্রামবাসীদের সাথে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে গ্রামবাসীরা না চাইলে জোর করে প্রকল্প হবে না এবং আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো মামলা প্রত্যাহার করে নেবে সরকার। কিন্তু তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও সরকার মামলা তোলার কোনও উদ্যোগ নেয়নি, অন্যদিকে নানা অছিলায় গ্রামবাসীদের মতামত অগ্রাহ্য করে গায়ের জোরে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। এদিনের মিছিল থেকে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত হয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঠুড়গা

গত ২৪ জুলাই সরকারি সমীক্ষক দল পুরুলিয়া পাম্পড স্টোরেজ প্রজেক্টের সার্ভের কাজে অযোধ্যা পাহাড়ে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের বাধা দেয় ও ফিরে যেতে বলে। গ্রামবাসীরা বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদালতে ও রাস্তায় আন্দোলন করছেন। এই প্রকল্প ওই এলাকার জনবসতির ওপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে, বহু অরণ্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে, চারপাশের চাষজমিও নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া এই পাহাড় আদিবাসী সান্তাড় সমাজের পবিত্র স্থান বলেও পরিচিত। আদিবাসীদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই প্রকল্প করতে চাইছে সরকার। গ্রামবাসীরা এবার সরাসরি বাধা দেয় সরকারি সমীক্ষা দলকে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলে তাদেরও ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পুলিশ ও সমীক্ষা দল ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

খণ্ড-29
সংখ্যা-29