প্রস্তাব
আদিবাসী সংঘর্ষ মোর্চা : ঘোষণা
Indigenous Declaration

আমরা আদিবাসীরা ভারতের আদি বাসিন্দা, আমরা ঔপনিবেশিক যুগ থেকে চরম নিপীড়ন এবং সুব‍্যবস্থিত উচ্ছেদ ও দমন মোকাবিলা করে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদার জন‍্য লড়াই করে চলেছি। আদিবাসী প্রতিরোধের এই মহান ঐতিহ‍্যে আমরা গর্ব বোধ করি এবং এই লড়াইকে চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ‍্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আমরা আমাদের জল জঙ্গল জমি রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাব।

রাষ্ট্র ও কর্পোরেটের আঁতাতকে আমরা ধিক্কার জানাই।

অরণ‍্য ও তার সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর আমাদের ব‍্যক্তিগত ও সমষ্টিগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করছি আমরা।

আমরা ঘোষণা করছি যে আমাদের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ভোগ ও প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনোরকম অসাম‍্য ও বৈষম‍্য ও আমরা বরদাস্ত করব না।

আদিবাসী হিসেবে আমাদের বিশিষ্ট পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক ঐক‍্য জোরালো ভাবে ঊর্দ্ধে তুলে ধরব আমরা, আর আমাদের সংস্কৃতিকে বলপূর্বক আত্মসাৎ ও ধ্বংস করার যে কোন অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করব।

আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও বিকাশের লক্ষ‍্যে সক্রিয় থাকার অঙ্গীকার করছি আমরা।

যে প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করে আমরা বাঁচি তার ওপর আমাদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্ততা ও স্বশাসনের অধিকার ঘোষণা করছি আমরা।

আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ব‍্যবস্থাপনার ওপর আমাদের অধিকার ঊর্দ্ধে তুলে ধরছি আমরা।

ভূমি, এলাকা ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর আমাদের অধিকার ঘোষণা করছি আমরা, আর প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুরক্ষার অঙ্গীকার করছি।

আমরা আমাদের বিবিধতাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি ও তাকে লালনপালন ও রক্ষা করার অঙ্গীকার করছি।

আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া আমাদের ভূমি, এলাকা ও সম্পদের মেরামতি ও ক্ষতিপূরণের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি আমরা।

আদিবাসীদের ভূমিহীন অবস্থার অবসান ঘটাতে প্রয়োজনীয় ভূমিসংস্কারের সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং জমি কেড়ে নেওয়া রুখতে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করব।

সম্ভাব‍্য সমস্ত এলাকাকে পঞ্চম তপশীলের আওতায় এনে সুরক্ষিত করতে এবং ‘পেশা’ ও অরণ‍্যের অধিকার আইনকে সর্বাত্মকভাবে লাগু করতে লড়ে যাব আমরা।

আদিবাসী সমাজের অভ‍্যন্তরে সবরকম লিঙ্গ বৈষম‍্য প্রতিরোধ করতে ও তার অবসান ঘটাতে এবং নারী-বিরোধী সমস্ত প্রথা প্রত‍্যাখ‍্যান করতে শপথ নিচ্ছি আমরা।

সঙ্ঘ পরিবার ও তার বিবিধ সংগঠনগুলির দ্বারা আদিবাসীদের আত্মসাৎ ও বিভাজিত করার অপচেষ্টাকে এক তিল জায়গা দেব না আমরা, এবং আমরা অঙ্গীকার করছি যে এইসব সংগঠনগুলির সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের নিপীড়িত জনতা ও গণতান্ত্রিক অংশের পাশে আমরা থাকব।

আদিবাসী সংঘর্ষ মোর্চা আদিবাসীদের শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক সুদৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ নয়া ঘোষণা চায়। নিম্নলিখিত দাবিসনদের ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে আমরা দায়বদ্ধ থাকব।

Indigenous Conflict Front

আন্দোলনের দাবিসনদ

১। আদিবাসীরা যে ভারতের আদি বাসিন্দা তা জোরালোভাবে তুলে ধর এবং যে সমস্ত চরিত্রায়ন এই স্বীকৃতিকে খাটো ক'রে আদিবাসীদের মর্যাদার অবনমন ঘটাতে চায় তাকে প্রতিরোধ কর; আত্মপরিচিতি সংস্কৃতি ও নিজস্ব শাসনের স্বায়ত্ত সংস্থাগুলির সংরক্ষণের স্বাধীনতা ও অধিকার এই স্বীকৃতির অন্তর্গত।

২। তাদের ধর্মীয় ঐতিহ‍্য, প্রথা ও লায়লাকচার অনুশীলনের স্বাধীনতা ও অধিকার ঊর্দ্ধে তুলে ধর।

৩। ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস রক্ষণাবেক্ষণ ও উদযাপনের অধিকার ঊর্ধ্বে তুলে ধর।

৪। উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও বনরক্ষার নামে অরণ‍্য ও আদিবাসীদের জমির প্রাকৃতিক সম্পদের বেআইনি লুন্ঠন বন্ধ কর।

৫। সামাজিক বহিস্করণ, উচ্চ মাত্রার দারিদ্র, নিরাপত্তাহীন জীবনজীবিকা, জীবনধারণের সুযোগসুবিধার হতাশাজনক পরিস্থিতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ‍্যপরিষেবার চরম সীমিত সুযোগ এবং রাষ্ট্রীয় হিংস্রতা - আদিবাসী সমাজের নিরন্তর দারিদ্রকরণ ঘটিয়ে চলা এই সবকিছুর বিরুদ্ধে লড়াই কর।

৬। “শিডিউলড ট্রাইব” সাংবিধানিক ক‍্যাটেগরিতে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে চিহ্নিত কর যা আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির বিশিষ্টতাকে স্বীকৃতি দেবে এবং দেশজুড়ে অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়কে বাদ দেওয়ার অন‍্যায়কে সংশোধন করবে।

৭। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তপশীলকে যথাযথ ও পরিপূর্ণ অন্তর্বস্তুতে লাগু কর।

৮। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক সহ অন‍্যান‍্য যেসব রাজ‍্যে এখনও আদিবাসী জনতাকে অধিকার বঞ্চিত করে পঞ্চম তপশীল লাগু হয়নি সেসব রাজ‍্যে অবিলম্বে তপশীলভুক্ত এলাকা ঘোষণা করে পঞ্চম তপশীল বলবৎ কর।

৯। পঞ্চায়েত প্রবিধান (তপশীলভুক্ত এলাকায় সম্প্রসার) আইন, ১৯৯৬ (পেশা আইন) নিশ্চিত কর যা “আমাদের গ্রামে আমাদের শাসন” নীতি মূর্ত করে রাষ্ট্রনির্ভরতা থেকে সরে এসে আদিবাসী স্বার্থ সুরক্ষিত করার লক্ষ‍্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল।

১০। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে উন্নয়ন বা সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ‍্যমে যে সমস্ত আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের সকলের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত কর।

১১। বিপুল সংখ‍্যায় দেশের অন‍্যত্র কাজের সন্ধানে আদিবাসীদের পরিযানের নিদারুন অবস্থার বিহিত কর, নিজের রাজ‍্যে তাদের জীবনজীবিকা সুরক্ষিত কর ও পরিযায়ি শ্রমিক হিসেবে তাদের অধিকার সুরক্ষা কর।

১২। ডি-নোটিফায়েড, যাযাবর ও আধা-যাযাবর আদিবাসী সম্প্রদায় রাষ্ট্র ও সমাজের দ্বারা নৃশংস হিংসা ও বৈষম‍্যের শিকার হয়, তাদের সুবিচার দাও।

১৩। বিশেষভাবে বিপন্ন আদিবাসী গোষ্ঠি (পিভিটিজি সমূহ)-র অস্তিত্ব-সংকটের বিহিত করতে তাদের উচ্চ মৃত‍্যুহার, নিরন্তর দারিদ্র, অপুষ্টি ও অনাহার এবং স্বাস্থ‍্য পরিষেবার চরম অপ্রতুল সুযোগ ও জীবনজীবিকা রক্ষার বিপন্নতাকে আটকাও।

১৪। ছোটনাগপুর টেনান্সি অ‍্যাক্ট ১৯০৮, সাঁওতাল পরগণা টেনান্সি অ‍্যাক্ট ১৯৪৯ এবং আদাবাসীদের জমি অ-আদিবাসীদের হাতে পাচার করা আটকাতে বিভিন্ন রাজ‍্যের বা কেন্দ্রের অন‍্যান‍্য যেসব আইন আছে সেগুলি কঠোরভাবে বলবৎ কর।

১৫। অরণ‍্যের অধিকার আইন ২০০৬ কঠোরভাবে বলবৎ কর, অন‍্যান‍্য সমস্ত আইনে সংশোধনী এনে এই আইনের অধীনে সাযুজ‍্যপূর্ণ কর। বিশেষ করে

ক) ভারতের সমস্ত বনাঞ্চলে অরণ‍্যের অধিকার আইন ২০০৬ পরিপূর্ণভাবে লাগু করার পথ ঠিক করতে এবং এই আইন লাগু করার জন‍্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ ও মানব সম্পদ নিয়োগ করতে পার্লামেন্টের একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা হোক।

খ) আদিবাসী, অরণ‍্যচারী ও বনে কর্মরত শ্রমিকদের অরণ‍্যের অধিকার আইনের আওতায় জমির ওপর সমষ্টিগত মালিকানার দাবি অনুমোদনের ব‍্যবস্থাপনা সহজসাধ‍্য কর।

গ) অরণ‍্য অধিকার আইনের আওতায় ব‍্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জমি মালিকানার দাবিগুলি অনুমোদন বা খারিজ করার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনো যাতে খারিজের ক্ষেত্রগুলিতে প্রয়োজনে সহজে পুনরাবেদন সম্ভবপর হয়

ঘ) অরণ‍্য অধিকারের দাবিগুলি যে অফিসারেরা খতিয়ে দেখে তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হোক।

ঙ) অরণ‍্য অধিকার আইনের জন‍্য একটি জাতীয় মিশন চালু কর যা নিম্নলাখিত উদ্দেশ‍্যগুলি পূরণ করবে

  • অরণ‍্য অধিকারের যোগ‍্য সমস্ত সম্ভাব‍্য গ্রামগুলিকে তার আওতায় আনবে।
  • সমস্ত গোষ্ঠিগত অরণ‍্য সম্পদের অধিকার, সমস্ত গৌণ অরণ‍্য উৎপাদের ওপর বিশেষ বিপন্ন ট্রাইব, যাযাবর ট্রাইব ও পশুপালক ট্রাইবদের অধিকার, অন‍্যান‍্য পরম্পরাগত অরণ‍্যবাসীদের অধিকার, মহিলাদের অধিকার, উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়ের অধিকার ও সমস্ত ফরেস্টের রূপান্তরকে স্বীকৃতি দেবে, গ্রামগুলো সার্ভে করবে।
  • এসটি ও অন‍্যান‍্য অরণ‍্যবাসীর খারিজ হয়ে যাওয়া ও বকেয়া দাবিগুলি পুনরায় খতিয়ে দেখা।
  • সমষ্টিগত অরণ‍্য অধিকারের ব‍্যবস্থাপনা ও শাসনের জন‍্য গ্রামসভাগুলির ক্ষমতায়ন।
  • ক্ষতিপূরণমূলক বনসৃজন ও এমজিএনআরইজিএ ইত‍্যাদির কাজে গ্রামসভাগুলির জন‍্য অরণ‍্য বিকাশ তহবিল সুলভ করা।
  • এমজিএনআরইজিএ, গণবন্টন ব‍্যবস্থা সহ সমস্ত প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রকল্পকে অরণ‍্যের অধিকার আইনের সাথে সংযুক্তিকরণ ও সমন্বয় নিশ্চিত করা।
  • কেন্দ্রীয় বাজেট ও আর্টিকেল-২৭৫ এর অধীনে অরণ‍্য অধিকার আইন তহবিলে অতিরিক্ত বরাদ্দ করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ প্রশ্নে দায়বদ্ধতা মেনে অরণ‍্য ও ভূপ্রকৃতির পুনস্থাপনের কাজ যাতে গ্রামসভাগুলির প্রত‍্যক্ষ সমর্থনে সম্পন্ন হয় তা নিশ্চিত করা।

১৬। সাম্প্রতিক কর্পোরেট স্বার্থবাহী তিন কৃষি আইন ও চার শ্রমকোড এবং সিএএ/এনআরসি সহ জনবিরোধী আইনগুলির বিরোধ ও প্রত‍্যাহার নিশ্চিত করা যে আইনগুলি আদিবাসীদেরও, অধিক মাত্রায় না হলেও অন্তত সমান মাত্রায়, ক্ষতিগ্রস্ত করে।

১৭। গৌণ অরণ‍্য উৎপাদনের ন‍্যায‍্য মূল‍্য নিশ্চিত কর। গ্রামসভা ও অরণ‍্যবাসী ব‍্যক্তিদের দ্বারা সংগৃহীত বা আহরণ করা সমস্ত অরণ‍্য উৎপাদনের ন‍্যূনতম সহায়ক মূল‍্য নিশ্চিত কর। সমষ্টিগত অরণ‍্য সংস্থাগুলিকে সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোল।

১৮। আদিবাসীদের ওপর, বিশেষত শিশু ও নারীদের ওপর পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর চালানো হেফাজতে নির্যাতন, ধর্ষণ ও ফেক এনকাউন্টার হত‍্যার বিরুদ্ধে কড়া ব‍্যবস্থা গ্রহণ কর।

১৯। বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় কারাবন্দী সমস্ত আদিবাসী, দলিত ও অরণ‍্যচারী এবং গ্রামীণ ও শহুরে গরিবদের নামমাত্র আর্থিক জামিনে মুক্ত কর।

২০। মিথ‍্যা মামলা খারিজ করা এবং নির্দোষ ব‍্যক্তিদের মুক্তি ও ক্ষতিপূরণের লক্ষ‍্যে আদিবাসী ও অরণ‍্যচারীদের বকেয়া ফৌজদারি মামলাগুলি পুনরায় খতিয়ে দেখার জন‍্য প্রতিটি রাজ‍্যে সময়-নির্দিষ্ট বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে; এরকম উদ্দেশ‍্যমূলক হিংসাপরায়ন সাজাপ্রদানের জন‍্য দায়ি সব পুলিশ কর্মীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাও।

২১। কর্পোরেটদের লুন্ঠন ও ধ্বংসের ছাড় দিয়ে আদিবাসীদের ওপর চালানো নির্মম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ কর। অধিকারের জন‍্য লড়াই করা আদিবাসীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনকে হাতিয়ার বানানো, বিশেষত পুলিশী হত‍্যা, বন্ধ কর।

২২। সমাজের আধিপত‍্যকারী অংশের দ্বারা এবং পুলিশ ও ফরেস্ট আধিকারিকদের দ্বারা অত‍্যাচার, বৈষম‍্য ও লাঞ্ছনা সহ নিত‍্যদিনের হিংস্রতারূপে আদিবাসীদের জীবনের ওপর চলা ‘দৈনন্দিন অত‍্যাচার’-এর অবসান ঘটাও। এসসি-এসটি (নিপীড়ন নিবরণ) আইন ১৯৮৯ শক্তিশালী করে তা কঠোরভাবে লাগু করা এর অন্তর্ভুক্ত।

২৩। আদিবাসী এলাকাগুলিতে সম্পূর্ণ বে-সামরিকীকরণ ও পুলিশ ব্যবস্থার শাসন কায়েম কর।

২৪। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ‍্যগুলিতে আদিবাসীদের বিপর্যস্ত করা সংঘাতগুলির সমাধান করতে আলাপ আলোচনা চালু কর ও সশস্ত্র সেনার বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৫৮ (আফস্পা) প্রত‍্যাহার কর। সশস্ত্র সেনার দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত‍্যা, ধর্ষণ ও হয়রানির সমস্ত ঘটনাগুলি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে ও সেই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২৫। আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি যাতে সংরক্ষণের সাংবিধানিক সুযোগ ঠিকমতো পায় তাতে নজর কেন্দ্রীভূত করা।

খণ্ড-28
সংখ্যা-40