জলপাইগুড়ি জেলার দীর্ঘদিনের সিপিআই(এমএল) সদস্য মানিক ঘোষ ২১ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। জেলার প্রয়াত সম্পাদক শংকর দাসের সান্নিধ্যে মানিকদা পার্টির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন পরিবহন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। পরিবহন শিল্পে শ্রমিকদের নায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে মানিক ঘোষ ছিলেন অন্যতম সেনাপতি। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় মোটর কর্মী ইউনিয়ন এআইসিসিটিইউ'র অন্তর্ভুক্ত হয়। জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি মিনিবাস ইউনিয়নকেও তিনি অন্তর্ভুক্ত করান। বাস শ্রমিকদের মজুরি, বোনাসের দাবিতে আন্দোলনের সফলতায় তাঁর লড়াকু ভূমিকা আজও শহরের আলোচ্য বিষয়। তিনি পরিবহন শ্রমিকদের নেতা থেকে পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। পার্টির রাজ্য কর্মসূচিগুলোকে জেলায় সফল করে তুলতে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতেন। গোশালা মোড়ে ভারতীয় মোটর কর্মী ইউনিয়নের অফিস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ছিলেন অন্যতম সেনাপতি। জলপাইগুড়ি শহরে এফ সি আই গোডাউন বন্ধের বিরুদ্ধে মানিকদার নেতৃত্বে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি এআইসিসিটিইউ'র একসময় রাজ্য সহ সভাপতি ছিলেন। বোনাসের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকলে মালিকরা দাবি মানতে বাধ্য হত। মিনি বাসের কন্ডাক্টর থেকে জীবন্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামগ্রিক পার্টি নেতা হয়ে উঠেছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য মানিকদা শেষ দিকে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। সমস্ত বাধা কাটিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দীপংকর ভট্টাচার্যের জলপাইগুড়ি জেলার কর্মী বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। কমরেড মানিকদার মৃত্যুতে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।
পার্টির রাজ্য কমিটি তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
কমরেড মানিক ঘোষ লাল সেলাম।