কমরেড রঞ্জিত দে গত ১৭ এপ্রিল হাওড়া জেলা হাসপাতালে মারা যান। তিনি প্লুরোসি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ৭০ দশকের উত্তাল সময়ে তিনি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন, পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, পার্টির গোপন অবস্হায় আইপিএফ গঠনের পর মধ্য হাওড়ার সম্পাদক ও পার্টির মধ্য হাওড়া লোকাল কমিটির সদস্য হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমৃত্যু পার্টি সদস্য এই কমরেড রেখে গেলেন তাঁর জীবনসাথী কমরেড কৃষ্ণা দে সহ মধ্য হাওড়ার সহযোদ্ধাদের।
কমরেড রঞ্জিত দে'র মৃত্যু পার্টির কাছে অপুরণীয় ক্ষতি। পার্টির জেলা কমিটি প্রয়াত কমরেডের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।
কমরেড রঞ্জিত দে লাল সেলাম।
এই পর্বে আমরা হারিয়েছি বহরমপুরের প্রবীণ কমরেড শুক্রাচার্য ভট্টাচার্য্য ও কৃষ্ণনগরের কমরেড শঙ্কর সান্যালকে। কমরেড শুক্রাচার্য ভট্টাচার্য, সকলের প্রিয় শুকুদা, ৭৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন গত ১৮ এপ্রিল রাতে। বহরমপুরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশেষ পরিচিত ও প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের সঙ্কর সান্যাল অকালেই চলে গেলেন বলা যায়। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম নেতৃত্ব, সমান নাগরিকত্ব আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। চলতি পর্বে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচারাভিযানেও তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়ন ছিলেন। এই কমরেডদের চিরতরে হারিয়ে পার্টি শোকাহত। তাঁদের লাল সেলাম জানিয়ে তাঁদের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিচ্ছে পার্টি।