বিশালগড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপর বিজেপি’র প্রত্যক্ষ হামলা ও বাধারঘাটে সিপিআই(এম) নেত্রী রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্যের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। গণতন্ত্রের বধ্য ভূমিতে জঙ্গলরাজ কায়েম করে ত্রিপুরাকে বিরোধী শূণ্য করে তোলার বিজেপি’র এই ফ্যাসিবাদি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
আজ বিশালগড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী দলীয় অফিসে মিটিং করতে এসে বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীদের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে প্রত্যক্ষ হামলার শিকার হলেন। এই কাপুরুচিত হামলার ফলে সভাপতি নিজে, তাঁর গাড়ি চালক, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুমন লস্কর সহ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হন। আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সভাপতির গাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে সমাজবিরোধীরা। আবার বাধারঘাটে দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে গেলে রাজ্যসভার সাংসদ বাম নেত্রী ঝর্ণা দাস বৈদ্যের উপর হামলা করে বিজেপি। তাতে তাঁর দেহরক্ষী ও কয়েকজন বাম যুব কর্মী আহত হন। আমরা এই ফ্যসিবাদী হামলাগুলির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার নিন্দা করছি। এই দুটি ঘটনায় বিজেপি মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীদের আড়াল না করে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুসারে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি। এই হামলার খুবই পরিষ্কার যে, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদল কুক্ষিগত করে রেখেছে। সর্বস্তরে দলতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। দল ও প্রশাসন একাকার, যাতে রাজ্যকে বিরোধী শূণ্য করে তোলা যায়। ইতিমধ্যেই গত তিন বছরে ত্রিপুরা গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। মতপ্রকাশের অধিকার, নাগরিক অধিকার বিপন্ন। কোন বিরোধী দলের রাজনৈতিক মিছিল মিটিং করার অধিকার নেই। দলীয় অফিস খুলতে গেলে বাঁধা, আক্রমণ, আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া নিত্যদিনের পরিঘটনা। কাজেই আজকের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে জঙ্গলরাজ কায়েম করে ত্রিপুরা রাজ্যকে বিজেপি আজ তার ফ্যাসিবাদি পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে বিরোধী শূণ্য করে তুলতে চায়। তাই আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হই। সংবিধান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
- পার্থ কর্মকার, রাজ্য সম্পাদক, সিপিআই(এমএল), ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি