কেষ্টপুর অঞ্চলের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যামন্দির। ৬২ বছরের পুরনো এই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বিগত ১৩ জানুয়ারী ছাত্রীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ও রাস্তা অবরোধ করেন। কিছু বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে যে মোবাইল ফোন অথবা ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন সে বিষয়ে ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সে কারণে ১৫.০১.২০২১ তারিখে সেই বালিকা বিদ্যালয়ে আইসা রাজারহাট জোনাল কমিটির তরফ থেকে একটি অনুসন্ধান দল যায় এবং ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে। ঐ অনুসন্ধান দলে ছিলেন শুভ্রদীপ, শুভদীপ ও দেবযানী। কিন্তু, অনুসন্ধান দলের তদন্তে চমকপ্রদ ভাবে অন্য তথ্য উঠে আসে। অভিভাবক ও ছাত্রীরা বলেন, বৈদ্যুতিন যন্ত্র সামগ্রী(ট্যাব) কেনার টাকার জন্য বিক্ষোভের তথ্য বাস্তব স্কুল কর্তৃপক্ষের রটানো। শুধুমাত্র একজন শিক্ষিকা ও ছাত্রীর বক্তব্য এক্ষেত্রে তুলে ধরা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। বাস্তবে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের এই শিক্ষাবর্ষে দু’বার করে ভর্তির ফি নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি, উল্টে বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপের জন্য বারবার হয়রানি করা হচ্ছে এবং প্রত্যেকের প্রজেক্ট-এর নম্বরে ফেল করানোর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এই লকডাউনের সময় যখন আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে এদেশের সমস্ত মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের পরিবার তখন অনৈতিকভাবে এক শিক্ষাবর্ষে দু’বার করে ভর্তি ফি নেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এল, কলকাতা মহানগরীর উপকণ্ঠে রাজারহাট-ভিআইপি সংলগ্ন এই স্কুলে। যেখানে প্রায় ৩০০-এর কাছাকাছি দ্বাদশ শ্রেণীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এই জুলুমের শিকার। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অশ্লীল বাক্যবন্ধে ছাত্রীদের তিরস্কারের কথাও ছাত্রীরা অনুসন্ধান দলকে জানান, পাশাপাশি মিডিয়ার একাংশের ভুল সংবাদ পরিবেশনেও তারা বিস্মিত। আইসা’র পক্ষ থেকে ছাত্রী ও অভিভাবকদের এই লড়াইয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও ছাত্র ও বৃহত্তর সমাজে এই ধরনের যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইসা লড়ছে ও লড়বে।