ঋণমুক্তির আন্দোলনের শুরু থেকেই মাইক্রোফিনান্স সংস্থার এজেন্টদের জুলুমবাজীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই ঋণমুক্তি কমিটি সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই জুলুম অত্যাচার অপমান অসম্মান কিছুটা কমেছিল। কিন্ত ঋণ মকুবের প্রশ্নে এবং মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না থাকার ফলে মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলোর জুলুমের প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে। সরকার শুধুমাত্র ছয় মাসের সুদের উপর অতিরিক্ত সুদ মকুব করার কথা বলেছে, তা হলেও ব্যাপক গরিব মানুষ ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে শোধ করতে পারছেন না। তাদের ঋণগ্রস্ত দুরবস্থা থেকে কোনো পরিত্রাণ মিলছে না। তাদের সংকট বেড়েই চলেছে। ঋণের দায়ও বেড়ে যাচ্ছে। তাই ঋণমুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এই আন্দোলন যেহেতু অনেকটাই স্বতস্ফূর্ত ভাবে অনেক জায়গাতে বিস্তার লাভ করেছে, তার উপর শাসক পার্টিগুলোর বিভ্রান্তিমুলক প্রচার ও চাপের মধ্যেই এগোতে হচ্ছে, তাই অনেক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েই সংগঠনের কাঠামোগুলোকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ চালিয়ে যেতে হবে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১৩ ডিসেম্বর পুর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী ১নং ব্লকের নিমোতে শতাধিক ঋণগ্রস্ত মহিলাদের নিয়ে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে উপস্থিত সমস্ত মানুষ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের ঋণ মকুবের দাবিতে এবং এজেন্টদের জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ হন। কনভেনশনে নেতৃত্ব দেন আয়ারলার জেলা কমিটির সদস্য সাধন কর্মকার। বক্তব্য রাখেন জেলার সিপিআই(এমএল) নেতা কুনাল বক্সী। দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে ঋণমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর কলকাতার জমায়েতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।