গত ১৭ নভেম্বর বহরমপুর অফিসে জেলা কর্মী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৯টা ব্লকের ৪০জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মী বৈঠকে ঠিক হয় সমস্ত ব্লকে যৌথভাবে এবং স্বাধীনভাবে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ও বেসরকারীকরন-বিলগ্নীকরন-এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট এবং কৃষি ও কৃষক বিরোধী নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ডাকা গ্রামীণ ধর্মঘট সফল করার জন্য প্রচার সংগঠিত করতে হবে। সেইমত বিভিন্ন ব্লকে সিপিআই(এম), সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের গণসংগঠনগুলো যৌথভাবে প্রচার সংগঠিত করে। কোথাও কোথাও কংগ্রেস ও অন্যান্য বামফ্রন্টের সরিক উপস্থিত ছিল। কান্দী ব্লকের ৫টা জায়গায় যৌথসভা হয়। ধর্মঘটের দিন কান্দী শহরে মিছিল হয়। খড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিন দিন যৌথ মিছিল হয়। ধর্মঘটের দিন আলী নগর মোড়ে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়। কিছু সময় অবরোধের পর পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। পরে সিপিএমের লোকজন আসার পর আবার যৌথ মিছিল করা হয়। ভরতপুর গঞ্জে যৌথ প্রচারসভা করা হয়। ধর্মঘটের দিন ও যৌথ মিছিল সংগঠিত হয়। সেখাপাড়া ও সাগর পাড়ায় যৌথ মিছিল প্রচার সভা সংগঠিত হয়। বেলডাঙা শহরে এআইসিসিটিইউ-এর পক্ষ থেকে ধর্মঘটের দিন মিছিল প্রচার করা হয়। বহরমপুর শহরের বিভিন্ন মোড়ে কয়েকদিন যৌথ প্রচার সভা সংগঠিত হয়। ধর্মঘটের দিন শহরের বিভিন্ন এলাকা যৌথ মিছিল করে পরিক্রমা করা হয়। ফরাক্কায় যৌথ প্রচার করা হয়।