গত ১৫ নভেম্বর রাত্রি আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ বিজেপি আশ্রিত ১২-১৫ জন সমাজবিরোধী দলবেঁধে উদয়পুরে সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকারের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে শাসক দল বিজেপি’র বিরুদ্ধে মিটিং করা, প্রচার করা বা কথা বলা যাবে না বলে হুমকি দেয়। মিটিং করলে বা কথাবার্তা বললে বাড়িতে ঢুকে হামলা করবে বলে শাসিয়ে যায়। এমনকি প্রাণে মারার হুমকি দেয়। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাড়ির গেটে লাথি দেয়। বাউন্ডারি দেওয়াল টপকে ঢোকার চেষ্টা করে। তাছাড়া পার্থ কর্মকারের প্রতিবেশি পেশায় ক্ষুদ্র পোশাক ব্যবসায়ী চন্দন সাহার বাড়িতে দলবেঁধে ঢুকে শাসিয়ে যায়। তিনি পার্থ কর্মকারের বাড়িতে কেন কথা বলতে যান সেটাই তাঁর ‘অপরাধ’! এমন আরো কয়েকজনকে শাসিয়ে যায়। হামলার ঘটনার সময় পার্থ কর্মকার, তাঁর বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী বাড়িতেই ছিলেন। তাঁদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করা, সামাজিক সম্মান নষ্ট করাই এদের উদ্দেশ্য ছিল। এই ঘটনা আরো একবার প্রমাণ করল, ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা, নাগরিকদের অধিকার আজ বিপন্ন। বাড়িতে শান্তিতে ও স্বাভাবিকভাবে বসবাস করার মৌলিক অধিকারটুকু আজ বিপন্ন। মত প্রকাশের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার আজ বিপন্ন। এর মূল কারণ হচ্ছে যে আইনের শাসন বলতে আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, পার্থ কর্মকার নিজে আরকেপুর থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এই অবস্থায় এই ঘটনার প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক দোষীদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ শাস্তির দাবি করেছে সিপিআই(এমএল) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। একইসঙ্গে রাজ্যে আইনের শাসন, সাংবিধান ও গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান রেখেছে।
উপরোক্ত সমস্ত বিষয় জানিয়ে এক প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।