এখন ধান কাটার ও আলু বসানোর মরশুম চলছে গ্রাম বাংলায়। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পোলবা-দাদপুরের সাটিথান গ্রাম পঞ্চায়েতের সাটিথান গ্রামের কৃষি মজুররা সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি (আয়ারলা)-র জেলা নেতা তরুণ বাঊলদাসের নেতৃত্বে গতকাল থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। একদিন ধর্মঘটের পর বড় চাষিরা না মানলে ‘আয়ারলা’র নেতৃত্বে কৃষি মজুররা ১৬ নভেম্বর দলবদ্ধভাবে মাইক প্রচার করে দেন যে ধান কাটা মেশিন লাগালে সংঘর্ষ হবে, মেশিন তুলে দেওয়া হবে। কারণ এক বিঘা জমিতে শুধুমাত্র আলুবীজের দাম এবছর বেড়েছে কমপক্ষে ৩০০ গুণ (১৬০০ টাকা ৫০ কেজির বস্তা থেকে এবছর ৪৯০০ টাকা চন্দ্রমুখী আলুবীজের বস্তা)। চাষিরা বীজের এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেনি। করলে কৃষি মজুররা চাষিদের সাথে থাকতে রাজি। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডাল ইত্যাদির তীব্র মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষিমজুরদের মজুরিবৃদ্ধি ছাড়া বাঁচা অসম্ভব হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বড় চাষিরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনা করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি মেনে নেন। মজুরি ১০০ টাকা ও ২ কেজি চাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২০ টাকা ও ২কেজি চাল। কোদালের কাজে ১৫০ টাকা ২কেজি চাল, ধান তোলা ১৮০ টাকা ২ কেজি চাল।
এই বছর ২৫/৬/২০২০ রাজ্য শ্রম দপ্তরের সার্কুলার অনুসারে কৃষিতে ন্যূনতম মজুরি ২৫৭ টাকা। সেই অনুযায়ী এই মজুরি এখনো যথেষ্ট কম (১২০+২ কেজি চাল = ১২০+৬০= ১৮০ টাকা, এটা সারা বছর সর্বনিম্ন মজুরি এবং ভারী কাজে ও সর্বোচ্চ মজুরির দাঁড়িয়েছে ১৮০+৬০= ২৪০ টাকা)।
সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে, অবিলম্বে ন্যূনতম মজুরি কার্যকর করতে হবে।
-- সজল অধিকারী