দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরের বাসভবনে গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হলেন ছয়ের দশক থেকে নকশালবাড়ি আন্দোলনের নেত্রী কমরেড দীপিকা আহমেদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ১৯৬৭ সালে নকশালবাড়ি কৃষক অভ্যূত্থান সংঘটিত হওয়ার অল্প কিছুদিন আগে কমরেড দীপিকা কলকাতা মহানগর থেকে বিধাননগরে এক সরকারী প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি নিয়ে দার্জিলিং জেলায় আসেন। কর্মসূত্রে তাঁর সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হয় কমিউনিস্ট বিপ্লবী ডা. সিকন্দর আহমেদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ডা. আহমেদের বাড়িতে গোপনে রাত্রিবাস করে, তাঁর সক্রিয় সহযোগিতায় ১৯৬৭ থেকে উপর্যুপরি তিনটি বিপ্লবী প্রতিনিধিদের দল নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে চীন অভিমুখে যাত্রা করে। পার্টি নিষিদ্ধ থাকাকালীন সময়েও ইতিমধ্যে ডা. আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ কমরেড দীপিকা অসম্ভব সাহস ও মতাদর্শগত দৃঢ়তা নিয়ে বিপ্লবীদের গোপন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ও বিপ্লবের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, স্কুলের চাকরি ছেড়ে সদ্যভূমিষ্ঠ প্রথম পুত্রসন্তানকে পালনের কষ্টসাধ্য জীবনচর্যার মধ্যেও। স্বামীর বারংবার দীর্ঘ জেলবাসের সময়গুলিতেও তিনি প্রত্যয়ী থেকেছেন। কমরেড দীপিকা আহমেদ লাল সেলাম।