কোন্নগর নিবাসী কমরেড কেতকী ব্যানার্জী গত ১৩ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। হাসপাতালে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কদিন আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে। তাঁর মরদেহ সেরাতেই কোন্নগরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পার্টির রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, হুগলি জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার সহ পার্টি কমরেডদের অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শোকপ্রকাশ করেন পার্টি নেতা কার্তিক পাল, মীনা পাল, চৈতালি সেন প্রমুখ অনেক কমরেড। কমরেড কেতকী ব্যানার্জী পার্টিতে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন ‘ব্যানার্জী বৌদি’ হিসেবে।
কার্তিক পাল স্মৃতিচারণ প্রসঙ্গে বলেন, হিন্দমোটর কারখানার শ্রমিক কমরেড নবকুমার ব্যানার্জী ও কেতকী ব্যানার্জীর পরিবার পার্টির সাথে এক পরিবার হয়ে গেছিলেন। নবকুমার আগে চলে গেছেন, এবার হারাতে হল কেতকী ব্যানার্জীকে। কেতকী আগে মহিলা সমিতির সক্রিয় কমরেড ছিলেন। তাঁর মৃত্যু পার্টির কাছে আঘাত জনক ও বেদনাদায়ক। তিনি দীর্ঘ লকডাউন পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সুস্থতার পথে যেতে যেতে হঠাৎই সেরিব্রাল হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনি বিগত নব্বই দশকের গোড়ায় দিল্লীর মিছিলে গিয়েছিলেন, কলকাতার বিভিন্ন মিছিলে হেঁটেছিলেন। খুব কষ্টের দিনগুলোতেও তাঁরা পার্টির থেকে নিজেদের আলাদা করেন নি, দীর্ঘ ৩৫ বছর পার্টির সাথে যুক্ত থেকেছেন। মীনা পাল বলেন, ছেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। কমরেড ব্যানার্জীদা আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরবিদায় নিলেন। কিন্তু কমরেড কেতকী বৌদি শোকে দুঃখে জর্জরিত মানুষটি পার্টিকেই আঁকড়ে ধরে এতদিন বেঁচে ছিলেন। পার্টির সাথেই রয়ে গেলেন এতগুলো বছর। কমরেড চৈতালি সেন বলেন, একসাথে কাজ করার বহু স্মৃতি মনের মধ্যে ভীড় করছে। এক সময়ে মহিলা সমিতির সক্রিয় কর্মী কমরেড কেতকী ব্যানার্জী পার্টির প্রতি জীবনের শেষ পর্যন্ত ভীষণ অনুগত ছিলেন।
কমরেড কেতকী ব্যানার্জী লাল সেলাম।