নদীয়া জেলার ধর্মদা মুড়াগাছা লোকাল কমিটির বর্ষিয়ান সদস্য কমরেড রহিম সেখ ২০ আগস্ট প্রয়াত হয়েছেন। দুদিন ধরে তাঁর জ্বর ছিল। তারপরে আকস্মিকভাবে হার্ট এ্যাটাক হয় এবং তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কমরেড রহিম শেখ ছিলেন পার্টির দীর্ঘদিনের একজন লড়াকু কমরেড। ৮০-র দশক থেকেই কমরেড সুবোধ মজুমদারের সাথে পার্টির কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ধর্মদা-মুড়াগাছা এলাকায় জমির লড়াই থেকে শুরু করে বহু জঙ্গী কৃষক সংগ্রামের সামনের সারিতে থেকেছেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত পার্টির প্রতিটি কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন। শেষ দিকে অশক্ত শরীরেও মিটিংয়ে চলে আসতেন। পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে যে কোনো প্রশাসনিক দপ্তরে টেবিল চাপড়ে গলা উচুঁ করে লড়াকু মেজাজে গরিবের অধিকারের কথা তুলে ধরতেন। সমগ্র এলাকায় তিনি বিশেষ পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন, যাঁকে সকলে নাম বললেই চিনতেন। নানাবিধ গণকাজে ও সমস্ত জায়গায় দ্বিধাহীনভাবে পার্টির কথা তুলে ধরতে তাঁর ছিল অদ্ভূত সাবলীলতা। তাই তিনি ছিলেন সর্বসাধারণের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত মানুষ, সকলের শ্রদ্ধার ব্যক্তিত্ব। প্রয়োজনে পার্টির দায়িত্বশীলদেরও সামনা-সামনি সমালোচনা করতে দ্বিধা করতেন না, একজন বরিষ্ঠ অভিভাবকের মতো।
লকডাউনের সময়কালেও তাঁর বাড়িতে গেলে দেখা হয়েছে। গেলেই বলতেন পত্রিকা এনেছো? পত্রিকা হাতে পেলে খুব খুশি হতেন। খুঁটিয়ে পড়তেন। বছরের শুরুতেই গ্রাহকের টাকা দিয়ে দিতেন। গতবছর অসুস্থ শরীরেও অটো করে ধুবুলিয়া অফিসে গিয়ে গ্রাহকের টাকা জমা দিয়ে এসেছিলেন। নদীয়ায় তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা ও পার্টি স্পিরিটে ভরপুর কমরেড।
কমরেড রহিম সেখের স্মৃতি বেঁচে থাকবে চিরকাল, তাঁকে জানাই লাল সেলাম।
- জয়তু দেশমুখ