প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কারখানাগুলোকে কর্পোরেটাইজেশন করার জন্য ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স প্রোডাকশনের’ পক্ষ থেকে ভারতীয় কনসালট্যান্সি সার্ভিস এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে “এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেষ্ট কাম রিকোয়েষ্ট ফর প্রোপোজাল” আহ্বান করা হয়েছে। কাশীপুর জিএসএফ ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (এনপিডিইএফ ও এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত) পক্ষ থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্য ফেডারেশনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে লড়াইয়ে প্রস্তুতি জারি রেখেছে। কোভিড-১৯ অতিমারী পরিস্থিতিকে কাজে লগিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক শ্রমিক-বিরোধী নীতিগুলো প্রয়োগ করে চলেছে। ইতিমধ্যে কয়লা ক্ষেত্রে ৪১টি ব্লক এবং রেলের ১৫১টি ট্রেনকে বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপের ফলে সরকারের মুখোশটা খুলে পড়ছে। একদিকে ফেডারেশন, ইউনিয়ন ও এ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে হাই লেভেল অফিসিয়েল কমিটি (HLOC)-র মিটিং চলছে, আর অন্যদিকে সরকার একতরফা ভাবে OFB-র কর্পোরেটাইজেশন করার জন্য কনসালট্যান্সি সার্ভিস এজেন্সির সহায়তা চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে শ্রমিক কর্মচারিদের সঙ্গে প্রহসন করছে ও ধোঁকাবাজির খেলা খেলছে তা আজ সবার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আরও একবার আমরা সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, প্রতিরক্ষা শিল্পে কর্পোরেটাইজেশনের সিদ্ধান্তকে ৮২ হাজার শ্রমিক কর্মচারি নাকচ করে দিয়েছে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাকে স্ট্রাইক ব্যালটে মতদানের মাধ্যমে। শ্রমিক কর্মচারিদের এই মতদানকে উপেক্ষা না করে সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পে কর্পোরাটাইজেশনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করুক।
- জয়দেব দে, সভাপতি, কাশীপুর গান ও শেল ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন