কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে ৩ জুলাই দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবসে বাঁকুড়ার কেরানি বাঁধে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর জাতীয় সড়ক সকালে এক ঘণ্টা অবরোধ করে সভা চলে। সভায় বক্তব্য রাখেন সিটু নেতা প্রতীপ মুখার্জি, এআইটিইউসি-র ভাস্কর সিনহা ইউটিইউসি-র গঙ্গাধর গোস্বামী আয়ারলার জেলা সভাপতি বাবলু ব্যানার্জি, খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি অমিয় পাত্র সহ আরো অনেকে। সভা থেকে দাবি করা হয় শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না। ৮ ঘণ্টার কাজের অধিকার লড়াই করে বজায় রাখতে হবে। কৃষি ও কৃষক বিরোধী ‘কৃষি ও অত্যাবশকীয় পণ্য আইন’ বাতিল করতে হবে। লকডাউনের দরুন গরিব মানুষদের সবাইকে মাসে ১০,০০০ টাকা ভাতা দিতে হবে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবার বিদ্যুৎ বিল মকুব করতে হবে। চাষি সহ সবার সব ধরনের কৃষি-ঋণ মকুব করতে হবে। সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা কয়লাখনি ও রেলের এক বড় অংশ কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করা হয়। কেরানি বাঁধ ছাড়াও ওই দিন একই দাবিতে বিষ্ণুপুরে সভা করে এসডিও-র কাছে যৌথ ডেপুটেশন দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে উপরোক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ এআইসিসিটিইউ-র পক্ষে ছিলেন ফারহান হোসেন খান। ছাতনাতে যৌথ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন আযারলার জেলা সম্পাদক রামনিবাস বাস্কে। হীড়বাঁধ ব্লকে ডেপুটেশনে যৌথ নেতৃত্বে ছিলেন এআইকেএম সম্পাদক সুধীর মুর্মু।