করোনার জন্য লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা, রথতলা, বাঁশদ্রোণী বাজারে, দুধ সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি হতে থাকে এবং কোনো কোনো জিনিস হঠাৎই বাজার থেকে উধাও হয়ে যায়। ওই সময় অরিজিৎ মিত্র স্মারক কমিটি ও ‘আজ শুক্রবার’ পত্রিকার পক্ষ থেকে বোরো অফিসে বিষয়টি জানাতে যায়। পরবর্তীতে সাবান ও মাস্ক সংগ্রহ করে অঞ্চলের কিছু বাড়িতে স্মারক কমিটি পৌঁছে দেওয়ার পর, বুঝতে পারে অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে একটা বিপদ আসছে। অঞ্চলের দুজন রিকশাচালক বন্ধুর সহযোগিতায় এরপর স্মারক কমিটি বাড়ি বাড়ি চাল ডাল সংগ্রহ করে। বেশ কিছু মানুষ এই কাজে আমাদের সাহায্য করে। স্মারক কমিটি এককভাবে নাকতলা, বিধান পল্লী, কালীবাজার, এই সমস্ত অঞ্চলের ভ্যানচালক, রিকশাচালক, পরিচারিকা, নাট্যকর্মী বন্ধুদের ৫৫টি পরিবারকে ৬ বার (চাল, ডাল, তেল, আটা, সোয়াবিন, আলু, বিস্কুট) খাবার দিতে পেরেছে। এছাড়া সিপিআই(এমএল) লিবারেশন এবং এআইসিসিটিইউ লকডাউন ও আমপান-এর কারণে যে ত্রাণ বিলি করে, সেখানে স্মারক কমিটি চাল, ডাল, শুকনো খাবার, ওষুধ ওনাদের হাতে তুলে দেয়। স্মারক কমিটি ত্রাণের কাজটি অঞ্চলের কয়েকজন এগিয়ে থাকা মানুষ এবং বেশ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের নির্ভয়ে এগিয়ে আসার জন্য করতে পেরেছে। সবথেকে বড় কথা আমাদের রিকশাচালক বন্ধুরা ত্রাণ দেওয়ার সময় সবাইকে বলছিলেন – “শুধু এইভাবে হবে না, সবাই মিলে সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে।”