আম্ফানের ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আইপোয়া
aeasa

দীর্ঘ লকডাউনে রুটি রুজি প্রায় বন্ধ হওয়ায় চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তার উপর আম্ফানের বিভৎস তাণ্ডবে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে আমাদের সমিতির বেশ কিছু কাজের অঞ্চলে। সমিতির এরকম একটি কাজের অঞ্চল বজবজ গ্রামীণ এলাকা পূজালী পুরসভার অধীনে নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ ও ৩ নং ওয়ার্ডের অধীনে জামালপুরের সেখপাড়া, দাসপাড়া ছাড়াও শিংপাড়া, মালিকপাড়া, বৈষ্ণবপাড়া ও হালদারপাড়া মিলিয়ে প্রায় একশোটি পরিবারকে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে (মুসুর ডাল, সরষের তেল, সোয়াবিন, হলুদ, নুন, বিস্কুট, মাস্ক) ইত্যাদি সামগ্রি বিলি করা হয়। এখানকার মহিলারা বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত। যেমন, ঝুড়ি বাধা, রাখী বাধা, ঠোঙা বানানো, মাছ ধরা ও নির্মানের কাজ করেন। কেউ কেউ আবার একশো দিনের প্রকল্পেও কাজ করেন। সমস্ত কাজ এখন প্রায় বন্ধ। একদিকে চরম আর্থিক অনটন অন্যদিকে আম্ফানের ঘূর্নীঝড়ে এদের বেশির ভাগের ঘরের চাল উড়ে গেছে। সবই কাঁচা বাড়ি। অনেকে মাটির দেওয়াল, অপোক্ত ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। এই অসহায় মানুষ গুলো বার বার পঞ্চায়েতে জানানো সত্বেও পঞ্চায়েত প্রধান আশ্বাস দিলেও একদিনও পরিদর্শনে আসেননি বা কোনো রকম সহযোগীতা করেননি। কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। সমিতির পক্ষ থেকে বারে, বারে তাদের কাছে গেছে এবং খোঁজ খবর করেছে। এঁদের মূল দাবি ঘরে থাকার মতো ত্রিপলের ব্যবস্থা। এদের কাছে এই মূহুর্তে এই খাদ্য সামগ্রির থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন মাথার উপর ন্যূনতম আচ্ছাদন যেখানে সন্তান ও পরিবার নিয়ে এই বর্ষার দিনে মাথা গুঁজে থাকতে পারে। কিন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে কোন রকম সহযোগীতা না পেয়ে এরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। শিংপাড়ার পার্বতী খাঁ, মৌসুমী দলুই বলছেন “আমাদের মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে, টিনের চাল উড়ে গেছে। ছেলে, মে‌য়ে নিয়ে থাকাই দায়। বার বার আবেদন করেন কিছু ব্যবস্থা করার জন্য শুক্লা দাসের কথায়’, তার ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে, অপোক্ত ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে। স্বামী রঙের কাজ করে। এখন কোনো কাজ নেই। কোলে কয়েক মাসের বাচ্ছা। খাবারের সংস্থান করবে না মাথার উপর আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করবে ভেবেই পাচ্ছে না। এরা সকলেই ক্ষোভে ফুসছে। এখানকার আঞ্চলিক সমিতির পক্ষ থেকে শীঘ্রই এদের নিয়ে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হবে‌। ১৫ জুন এই কর্মসূচী পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদিকা ইন্দ্রানী দত্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদিকা কাজল দত্ত, রাজ্য কমিটির সদস্য মমতা ঘোষ এবং শীলা দে সরকার, স্বপ্না চক্রবর্ত্তী, দেবযানী ব্যানার্জী ও অঞ্জনা মাল।

খণ্ড-27