খবরা-খবর
সোনারপুর-রাজপুর পৌরসভায় রানিয়া অঞ্চলের নির্মাণ শ্রমিকদের ডেপুটেশন
sad

২২ জুন ২০২০, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন বোর্ড অফ এডমিনিস্ট্রেসনের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবি করা হয় রানিয়াতে শ্রমিকদের খাদ্য সংকট চলছে, এই অঞ্চলে শ্রমিকদের টেমপোরারি কুপনের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করা হোক। ডেপুটেশন নিলেও ফুড কুপনের জন্য ফিলাপ করা ফর্ম নিতে তিনি অস্বীকার করেন ও বিডিও অফিসে যেতে বলেন। একদিন বাদে ফর্ম জমা দিতে আবার বোসপুকুরে বিডিও অফিসে যাওয়া হয়। বিডিও ফুড সাপ্লাই অফিসারের কাছে পাঠান। তিনি ফর্ম জমা দেওয়ার অদিকার অস্বীকার না করলেও ফর্মগুলি জমা না নিয়ে জনপ্রতিনিধির কাছে যেতে বলেন। আবার পৌরসভায় যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি মহাশয়ার সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আবার লোকাল কাউন্সিলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে কশোভ প্রকাশ করেন এবং তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রানিয়া অঞ্চলেরই এক টিএমসি নেতার কাছে ফর্ম জমা করতে বলেন। সেই মতো আবার এলাকায় ফিরে গিয়ে ফর্মগুলি জমা দেওয়া হয়। আরও ফর্ম জমা দেওয়ার কথা হয়। মহেশতলা অঞ্চলে এক সাথিবন্ধু সুদেষ্ণা দত্ত বজবজের শেখপাড়ার গরিব মানুষদের জন্য এই ফর্ম ফিলাপের অভিজ্ঞতা বলছিলেন। সেখানে লোকাল কাউন্সিলর, পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং ফুড সাপ্লাই অফিসারের কাছে গিয়ে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলে জানান। তাঁকে বলা হয় যে এই ফর্মগুলি একমাত্র পরিযায়ি শ্রমিকদের জন্য। কিন্তু সরকারের নোটিফিকেশনে স্পষ্ট বলা আছে যে রেশন কার্ড না থাকা বা ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকা পরিবারগুলির জন্যও এই অধিকার প্রযোজ্য। যেদিন আমরা সোনারপুর পৌর সভায় ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য এক অফিস থেকে আরেক অফিসের দরজায় ঘুরপাক খাচ্ছিলাম সেদিনই সর্বদলীয় বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে কেউ ত্রাণ বা রেশন না পেলে যেন থানায় অভিযোগ জমা করে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাঁর দল ও প্রশাসন এই দুর্দিনে নিরন্ন ও অর্থহীন মানুষের পাশে সেভাবে দাঁড়াচ্ছে না।

রানিয়া অঞ্চলের সংগঠক শিখা নস্কর ও ঝর্ণা রায়দের সাথে টালিগঞ্জ লোকাল কমিটির কর্মীরা ছাড়াও এই সমগ্র প্রক্রিয়ায় রাজপুর সোনারপুর অঞ্চলের দায়িত্বশীল রাজ্য সদস্য নবকুমার বিশ্বাস ও অরিজিত মিত্র স্মারক কমিটির সদস্য সুজয় ভদ্র ছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনমত এগনো হবে।

খণ্ড-27