করোনা লকডাউনের পরিস্থিতিতে সংকটগ্রস্ত মানুষের কয়েকটি জরুরি দাবিকে তুলে ধরে তাহেরপুর নোটিফায়েড এরিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে পার্টির পক্ষ থেকে এক ডেপুটেশন সংগঠিত হয়। গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় পার্টির ৫ জনের এক প্রতিনিধিদল ডেপুটেশনে যায়। বর্তমান রেশন নিয়ে যে নানারকম অনিয়ম চলছে এবং গরিবমানুষ সঠিক পরিমানে খাদ্য দ্রব্য পাচ্ছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে দাবী তোলা হয় যে প্রতিটি রেশন দোকানে বন্টিত খাদ্যদ্রব্যের পরিমান লিখিত ভাবে বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দিতে হবে- পৌরসভাকে এই নির্দেশ জারি করতে হবে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়। দাবী জানানো হয় সকল গরিব মানুষ - কার্ড থাকুক বা না থাকুক রেশন দিতে হবে। যারা নানাবিধ কারনে রেশনে মাল পাচ্ছেন না তাঁদের রেশন দেওয়ার দায়িত্ব পৌরসভাকে নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ জানায় এ ধরনের বঞ্চিত গরীবদের নাম পাঠালে তাঁরা মানবিক জায়গা থেকে অবশ্যই বিবেচনা করবেন। এছাড়া ১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রকল্প “প্রচেষ্টা” সরকারী ভাবে ঘোষিত হলে তারা এ বিষয়ে সবরকম সহযোগিতা করবেন। পুরসভা এলাকা জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থাবলী পরিচালনা করবেন। দাবী জানানো হয় এই সমস্ত প্রশ্নে সার্বিক ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। আরেকটি জরুরি বিষয় তুলে ধরা হয় যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্মাণ কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না - এই ধরনের একটা সাম্প্রদায়িক ঘৃণাপ্রচার তাহেরপুরে কোনো কোনো মহল থেকে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার নির্মাণকর্মীরা নিয়মিত ভাবে তাহেরপুরে নির্মাণকাজ করে থাকেন। লকডাউনের পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেক কাজ বকেয়াও পড়ে আছে। পৌরসভার কাছে দাবি জানানো হয় আগামীতে ঐ নির্মাণকমীরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক প্রচার বন্ধ করতে পৌরসভাকে পাল্টা প্রচার করতে হবে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নদীয়া জেলা সদস্য জীবন কবিরাজ, তাহেরপুর ব্রাঞ্চ সম্পাদক যোগেশ শিকদার, স্থানীয় পার্টি কর্মী শিবশংকর দাস, আশীষ দত্ত,অমিয় দাস।
রিপোর্ট – জয়তু দেশমুখ