ভোজপুর জেলায় রাজপুত জাতের সামন্ততান্ত্রিক লোকজন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লাগাতার ঘৃণা ও বিদ্বেষের পরিমণ্ডল সৃষ্টি করে চলেছে এবং তাদের ওপর আক্রমণও হানছে। কতৃত্ব চালানো এই শক্তিগুলো বিজেপি সাংসদ আর কে সিং-এর মদত ও সুরক্ষা পাচ্ছে।
জগদীশপুর ব্লকের কৌদা গ্ৰামে ২৭ এপ্রিল সমাজে আধিপত্য চালানো লোকজন মহম্মদ ইসারের ছেলে মহম্মদ জাকি আখতারকে প্রচণ্ড মারধর করে। মহম্মদ জাকি সে সময় পুলিশে নিয়োগের প্রস্তুতি হিসাবে দৌড় অনুশীলন করছিল। উচ্চ বর্ণের লোকেরা সেখানে এসে বলতে শুরু করল যে, এই লোকগুলোই করোনা ছড়াচ্ছে। উচ্চ বর্ণের যারা ওই সমস্ত সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হলেও কাউকে গ্ৰেপ্তার করা হয়নি। মারধরে যুক্ত ব্যক্তিটি হল জয়প্রকাশ জিদ্দির ছেলে সমর প্রতাপ সিং ওরফে ভোলু।
ওই গ্ৰামেই আর একটা ঘটনা ঘটে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটায়। আফজল হুসেনের ছেলে আসান-উল-হক গ্ৰামে ডিম বিক্রি করছিল। তখন রাজপুত জাতের কিছু লোকজন এসে ওকে মারধর করতে শুরু করে এবং ও কানে প্রচণ্ড আঘাত পায়। এফ আই আর দায়ের হলেও কাউকে গ্ৰেপ্তার করা হয় না। আক্রমণকারীদের মধ্যে ছিল শিব কুমার সিং-এর ছেলে রোহিত কুমার; বীরেন্দ্র সিং ওরফে ভাগেলু সিং-এর ছেলে দীপক সিং; সুরেন্দ্র সিং-এর ছেলে রোহিত কুমার। ২৭ এপ্রিলের ঘটনার কিছুদিন আগেও এখানে মুসলিমদের মারধর করা হয়েছিল।
আর একটা ঘটনা ১২ এপ্রিল ঘটে সিয়ারুয়া গ্ৰামে। রাজপুত জাতের ছোটু সিং-এর বাড়িতে একটি মুসলিম পরিবার থাকে। পরিবারের গৃহকর্তা হলেন এক রং-মিস্ত্রি, তার সাথে আর থাকেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। রাজপুত জাতের সামন্ততান্ত্রিক লোকজন মুসলিম পরিবারটিকে হুমকি দিয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে; মুসলিম পরিবারটিকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলার জন্য ওরা ছোটু সিং-এর ওপরও চাপ দেয়।
ভোজপুর জেলার অন্যান্য গ্ৰাম থেকেও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আক্রমণ ও হুমকির খবর পাওয়া গেছে।