বেগুসরাইয়ে হত্যার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাল সিপিআই(এম-এল)
beh

 

বিহার সিপিআই(এম-এল) রাজ্য সম্পাদক কমরেড কুনাল ১৯ এপ্রিলের তাঁর এক বিবৃতিতে বেগুসরাইয়ে সন্তোষ কুমার শর্মার হত্যাকে ধিক্কার জানিয়ে ওই ঘটনায় এক উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া খবর থেকে জানা গেছে সামন্ততান্ত্রিক-সমাজবিরোধী শক্তিগুলোর চাপে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে নভাকোটি থানা। জেলার বড়-বড় রাজনৈতিক নেতাদের নামও ওই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

ওই জেলার সিপিআই(এম-এল) সম্পাদক দিবাকর বলেন, বৈশ্য জাতের বিক্রম পোদ্দারকে বীরপুর থানা হাজতে ২৩ মার্চ হত্যা করা হয়। বিক্রমের সাথে উচ্চ জাতের একটি মেয়ের প্রেমই এই হত্যার পিছনে রয়েছে। তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মেয়েটির বাবা বিক্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিক্রমকে বীরপুর থানায় তিনদিন রাখা হয়, তারপর খবর আসে যে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটা স্পষ্টতই থানা হেফাজতে এক হত্যা বলেই মনে হয়।

সন্তোষ কুমার শর্মা এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এতে সামন্ততান্ত্রিক শক্তিগুলো ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাদের চাপে নভাকোটি থানার প্রধান ৬ এপ্রিল তাকে লকডাউন না মানার অভিযোগে থানায় নিয়ে আসে। সমাজ আন্দোলনের কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু পরবর্তীতে তাকে ধরে  অন্য আর এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে এমন প্রহার করা হয় যে সে ১৭ এপ্রিল মারা যায়।

কুনাল বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে যোগসাজশে সামন্ততান্ত্রিক শক্তিগুলোর এই ধরনের অপরাধ বেগুসরাইয়ে এক সাধারণ ঘটনা। আমাদের অনেক নেতাকেও এইভাবে হত্যা করা হয়েছে। গিরিরাজ সিং সাংসদ হওয়ার পর সামন্ততান্ত্রিক দুর্বৃত্তদের স্পর্ধা অনেক বেড়ে গেছে এবং তারা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। বিক্রম পোদ্দার ও সন্তোষ কুমার শর্মার হত্যায় আমাদের সংগঠন এক উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। অপরাধী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিহতদের পরিবারগুলিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও দল জানিয়েছে।

(এমএল আপডেট থেকে গৃহীত রিপোর্ট)

খণ্ড-27