জাতীয়তাবাদী লম্ফঝম্প কেবল পাক-বিরোধিতায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পায়ে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে মোদি সরকার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী গত বছর গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৩টি বোমা ফেলেছে। মানুষের ওপর। অবশ্যই অন্য দেশের মানুষের ওপর। ক’দিন আগে ইরান একটি মার্কিন ‘চারপাখা উড়োযান ক্যামেরা’ বা ‘ড্রোন’-কে ইরানের আকাশসীমার মধ্যে গুলি করে নামিয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। কিন্তু ওই স্পাই ক্যামেরা কী করছিল ইরানের আকাশে ঢুকে? ইরাক আফগানিস্তান লিবিয়া সহ বহু দেশকে ধ্বংস করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই দেশগুলিতে পুতুল সরকার বসিয়ে সমস্ত খনিজ তেল লুট করছে ওরা। ভারতের কেন্দ্র সরকারও কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল সরকার হয়ে যাবে? জুনের শেষ সপ্তাহে মার্কিন স্টেট সেক্রেটরি মাইক পম্পেওর ভারত আগমনের প্রাক্কালে এই প্রশ্ন আবারও ওঠে। বামদলগুলির একটি বিবৃতিতে প্রশ্নগুলি তোলা হয়। কিউবা, ভেনেজুয়েলা, ইরাণ ও নিকারাগুয়ার ওপর বাণিজ্য-নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেশগুলির দম বন্ধ করে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন তারা ভারতকে মার্কিন নীতি অনুযায়ী চলতে চাপ দিচ্ছে। ইরাণ ও ভেনেজুয়েলা থেকে ভারত যাতে তেল না কেনা বা রাশিয়া থেকে যাতে এস-৪০০ মিসাইল না কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে। ইরানের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক বহু পুরানো। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে তা বন্ধ করতে চলেছে মোদি সরকার। ট্রাম্প সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার করার ক্ষমতা নাই মোদি সরকারের। গত ৬ জুন জাতিসঙ্ঘের এক ভোটাভুটিতে ভারত অনৈতিকভাবে ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে ভোট দিয়েছে। ইতিহাসে এই প্রথমবার ভারত প্যালেস্টাইনের মানবাধিকারের বিরুদ্ধে হামলাবাজ রাষ্ট্র ইজরায়েলের পক্ষ নিল। কোনও এশীয় দেশ ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে তাও এই প্রথম। মোদি সরকার এই কলঙ্কময় আত্মসমর্পণ শুরু করল। ‘ছাপ্পান্ন ইঞ্চি জাতীয়তাবাদ’-এর সব লম্ফঝম্প কেবল প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে!

খণ্ড-26
সংখ্যা-19