খবরা-খবর
হুগলী মাদ্রাসা খোলার দাবিতে জমায়েত

হুগলী মাদ্রাসা খুলতে হবে এ এক দীর্ঘ দিনের দাবি, মুসলিম মানুষদের কাছে যেমন এটি একটি জনপ্রিয় দাবি তেমনি শিক্ষানুরাগী প্রতিটি মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করেন। কিন্তু বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই দাবিকে উপেক্ষা করে আসছে। পাশাপাশি মাদ্রাসার মধ্যে অবস্থিত মসজিদও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন, আইসা, এআইপিএফের যুক্ত আহ্বানে হাজার  মানুষের প্রতিবাদী জমায়েত হয়। এই প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফুরফুরা শরিফের আব্বাস সিদ্দিকী, শিক্ষক আবু রিদা, এআইপিএফের জয়তু দেশমুখ, সুদর্শন বসু, মুকুল কুমার, আইসার নীলাশিস বসু, এনডিপি-র পক্ষে ইমতিয়াজ এবং আরো বহু গুণীজন। এই দাবির সপক্ষে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জয়তু দেশমুখ এবং সুদর্শন বসু তাদের বক্তব্যে বলেন, হুগলী জেলা মাদ্রাসা বন্ধের জন্য "ছাত্র সংখ্যা কম" এটাকে অজুহাত হিসাবে সামনে আনা হচ্ছে,আমরা মনে করি এটা অর্ধসত্য যা মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর। সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং শিক্ষানুরাগী মানুষের স্থির বিশ্বাস যে, উন্নত ও প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সরকারি সুবিধা অনুযায়ি হোস্টেল চালু করলে পুনরায় হুগলী মাদ্রাসা স্বগৌরবে শিক্ষাদানের কাজে তার সাফল্য এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। রাজ্যে বহু সংখ্যক (প্রায় ৩৫২টি) খারিজী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি না দিয়ে, সংখ্যালঘু সমাজের শিক্ষা সংকোচনের যে সর্বনাশা নীতি রাজ্য সরকার বর্তমানে গ্রহন করেছে তার বিপরিতে আমরা শিক্ষা প্রসারের দাবি জানাচ্ছি এবং তারই স্বার্থে হুগলী মাদ্রাসা অবিলম্বে চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

জেলা শাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা শাসক স্মারকলিপি গ্রহন করেন এবং সত্বর মসজিদের চাবি খুলে দেন।পরবর্তী লড়াই মাদ্রাসা খোলার, যার কথা উপস্থিত সকল বক্তা তুলে ধরেন। জমায়েতে নীতীশ রায় তাঁর সদ্য লেখা গান, "মাদ্রাসা খুলেঙ্গে হাম, লড়েঙ্গে" গেয়ে শোনান।

খণ্ড-25
সংখ্যা-29