খবরা-খবর
মালদায় কাজের দাবিতে ডিএম ডেপুটেশন

গত ৫ সেপ্টেম্বর মালদার ডিএম অফিসে অভিযান করে কাজের দাবীতে ডিএম দপ্তরে ডেপুটেশন দেয় ল্যাণ্ড লুজার সার্টিফিকেট হোল্ডার চাকরি প্রার্থীরা। গত ১৯ আগস্ট আরওয়াইএ এবং সিপিআই(এমএল)-এর নেতৃত্বের উপস্থিতিতে মালদার কালিয়াচকে ল্যাণ্ড লুজার সার্টিফিকেট হোল্ডারদের নিয়ে একটি জিবি-র মাধ্যমে গঠিত হয় "মালদার জেলা ল্যাণ্ড লুজার উন্নয়ন সমিতি"। তাদের নেতৃত্বেই ৫ তারিখ ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

মালদার গঙ্গাভাঙ্গন অঞ্চলে সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বাঁধ তৈরি, পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন উন্নয়নের নাম করে সেখানকার অধিবাসীদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছে। পরিবর্তে জমিদাতাদের দেওয়া হয়েছিল ল্যাণ্ড লুসার সার্টিফিকেট। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রত্যেক ল্যাণ্ডমাইন লুজার সার্টিফিকেট হোল্ডারদের য্যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে। প্রত্যেক সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমণন সংরক্ষণ রয়েছে সার্টিফিকেট হোল্ডার জমিদাতাদের জন্য। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে এই সংরক্ষণ নীতি মানা হচ্ছে না, ফলত এক বড় অংশের সার্টিফিকেট হোল্ডার চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির শিকারও হচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল ১৮৯৪ সালের কুখ্যাত জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে।

ঐ দিনই ডিএম অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ২০০ যুবক যুবতী। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, "হাতে হাতে ত্রিশূল নয়, সার্টিফিকেট হোল্ডারদের কাজ চাই"। স্লোগান ওঠে "রোজগার মাঙ্গে ইন্ডিয়া"।

চাকরি প্রার্থীরা দাবি করে—
(১) সকল সার্টিফিকেট হোল্ডারদের অবিলম্বে সরকার নির্দিষ্ট সংরক্ষণ অনুযায়ী চাকরি দিতে হবে।
(২) সকল সার্টিফিকেট হোল্ডারদের সরকারি স্থায়ী কাজ না পাওয়া অবধি ১০০০০ টাকা ভাতা দিতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের, ১৮০০০ টাকা ভাতা দিতে হবে।
(৩) যারা চাকরি পেয়ে গেছে, তারা যাতে পুনরায় অ্যাপ্লাই না করতে পারে, তার জন্য তাদের সার্টিফিকেট রদ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) নিয়োগের প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
(৫) সকল ল্যাণ্ড লুজার সার্টিফিকেট হোল্ডারদের পরিবারের নিঃখরচায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

সেদিনের আন্দোলন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল)-এর মালদার জেলা কমিটির সম্পাদক ইব্রাহিম শেখ, লুতফর আহমেদ, আরওয়াইএ-র পক্ষ্য থেকে সজল দে ও রণজয়।

খণ্ড-25
সংখ্যা-29